বিবিধ রেসিপির সচিত্র বর্ননা
চাকুমচাকুম চচ্চড়ি (শজনে চচ্চড়ি),ঠান্ডা ঠান্ডা টমেটো কাপ,মজাদার ফল ভাতের সালাদ,সবজির চাপড় ঘণ্ট,
দই সবজি,ডিম-বেগুনের যুগলবন্দী,কলিফ্লাউয়ার রোল,কুড়মুড়ে সবজি পাকোড়া,কাঁঠালের কাঠি কাবাব,কলমি শাকের বড়া,আলুর চপ সিদ্ধ ডিমের ভর্তা দিয়ে,আলুর ঝুরি বড়া,ক্যারেট রোল,সবজির বল,
পনির দিয়ে সবজির কোরমা,কচুর কোরমা,হরেক রকমের ফলের সালাদ,ফ্রুট স্যালাদ
চাকুমচাকুম চচ্চড়ি (শজনে চচ্চড়ি) উপকরন:
শজনে ডাঁটা ১০০ গ্রাম, পাকা মিষ্টি কুমড়া এক কাপ (টুকরা), বেগুন একটি (মাঝারি আকারের), আলু একটি (মাঝারি আকারের), ভাজা কুমড়ার বড়ি পাঁচ-ছয়টি,
সরষে বাটা দুই টেবিল চামচ, হলুদ গুঁড়া আধা চা চামচ, লবণ স্বাদমতো, গোটা সরষে আধা চা চামচ, শুকনা মরিচ গোটা দুটি, কাঁচামরিচ বাটা এক টেবিল চামচ, সরষের তেল দুই টেবিল চামচ।
প্রণালী:কড়াইতে তেল দিযে সরষে ও শুকনা মরিচ ফোড়ন দিয়ে তার মধ্যে আলু আর বেগুন একটু ভেজে নিতে হবে। হলুদ গুঁড়া ও লবণ দিযে এবার মিষ্টিকুমড়া, শজনে ডাঁটা ও কুমড়ার বড়ি (একটু ভাঙা ভাঙা)
দিয়ে সরষে বাটা, কাঁচামরিচ বাটা দিয়ে কষিয়ে এক কাপ পানি দিয়ে সেদ্ধ করে নিতে হবে। সেদ্ধ হয়ে শুকনা চচ্চড়ি হয়ে গেলে নামিয়ে নিতে হবে।
ঠান্ডা ঠান্ডা টমেটো কাপ
উপকরন:
টমেটো ৬টি (বড় লাল), শসা ছোট কিউব ১ কাপ, গাজর ছোট কিউব ১ কাপ, পেঁয়াজ কুচি সিকি কাপ, ধনেপাতা কুচি ১ টেবিল-চামচ।
সালাদ ড্রেসিং
পানি ঝরানো টকদই ১ কাপ, লবণ ও চিনি স্বাদমতো, গোলমরিচ স্বাদমতো, পনির মিহি কুচি করা ২ টেবিল-চামচ।
প্রণালী: সব একসঙ্গে মিলিয়ে নিতে হবে। টমেটো স্কুপ করে ভেতরের অংশ বের করে নিতে হবে। টমেটোর ভেতরে অল্প লবণ মাখিয়ে রাখতে হবে। বড় বোলে শসা, গাজর, পেঁয়াজ কুচি, ধনেপাতা ও টমেটোর ভেতরের অংশ নিয়ে
সঙ্গে ড্রেসিং মিলিয়ে টমেটোর ভেতরে ভরে ফ্রিজে ঠান্ডা করে সাজিয়ে পরিবেশন।
মজাদার ফল ভাতের সালাদ
উপকরন:
আপেলের খোসা ছোট কিউব ১ কাপ, আলুর ছোট কিউব আধা কাপ,
সুইটকর্ন (টিনের) আধা কাপ, ক্যাপসিকাম (সবুজ) ছোট কিউব আধা কাপ, টমেটো ছোট কিউব আধা কাপ, পেঁয়াজ কিউব ছোট ২ টেবিল-চামচ (ইচ্ছা), পুদিনাপাতা কুচি ২ টেবিল-চামচ, লাল মরিচ কুচি ২ টেবিল-চামচ, চিকন চালের ভাত ১ কাপ, পানি ঝরানো টকদই ২ কাপ, লেবুর রস ২ টেবিল-চামচ, লবণ, চিনি, গোলমরিচ স্বাদমতো।
প্রণালী: ওপরের সব উপকরণ একসঙ্গে মেখে বা ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশন। লেটুস পাতা ও সেদ্ধ ডিম দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন। কমলা দিলেও খেতে ভালো লাগবে।
সবজির চাপড় ঘণ্ট
উপকরন:
ছাঁচি মিষ্টিকুমড়া ১ কাপ, বেগুন ১ কাপ, আলু ১ কাপ, টমেটো আধা কাপ, গাজর আধা কাপ। সব সবজি ধুয়ে ছোট ডুমো করে কেটে নিতে হবে। নারকেলবাটা ২ টেবিল-চামচ, আধা চা-চামচ রসুনবাটা, আধা চা-চামচ আদাবাটা, হলুদগুঁড়া আধা চা-চামচ, কাঁচা মরিচ আস্ত ৫-৬টি, কাঁচা মরিচ ফালি ২টি, সরিষার তেল প্রয়োজনমতো, লবণ স্বাদমতো, ঘি ১ টেবিল-চামচ।
চাপড় তৈরি করতে লাগবে: মসুর ডালবাটা ১ কাপ, আদাবাটা আধা চা-চামচ, রসুনবাটা আধা চামচ, কাঁচা মরিচ কুচি ১টি, হলুদগুঁড়া সামান্য, লবণ স্বাদমতো। সব উপকরণ একসঙ্গে মাখিয়ে ফ্রাইপ্যানে সামান্য তেল দিয়ে চাপড় ভেজে তুলে রাখতে হবে।
প্রণালী: ফ্রাইপ্যানে ২ টেবিল-চামচ তেল দিয়ে আদা, রসুন, নারকেলবাটা, হলুদগুঁড়া, লবণ, কাঁচা মরিচ ও সামান্য পানি দিয়ে কষিয়ে নিতে হবে। মসলা কষা হলে সবজিগুলো দিয়ে একবার কষিয়ে ১ কাপ পানি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। সবজি সেদ্ধ হলে চাপড় টুকরো করে সবজির মধ্যে দিয়ে ভালো করে নেড়ে কাঁচা মরিচ দিয়ে নামিয়ে ঘি দিয়ে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করা যায়।
দই সবজি
উপকরন:
ফুলকপি আধা কাপ, আলু আধা কাপ (কাটা হালকা সেদ্ধ), ক্যাপসিকাম আধা কাপ (কাটা), ব্রকলি আধা কাপ, পেঁপে আধা কাপ, গাজর আধা কাপ, মটরশুঁটি আধা কাপ, বরবটি আধা কাপ, দই ১ কাপ, তেল ৩ টেবিল চা-চামচ, পেঁয়াজবাটা আধা কাপ,
আদা-রসুনবাটা ১ চা-চামাচ, হলুদগুঁড়া আধা চা-চামচ, মরিচগুঁড়া আধা চা-চামচ, গোলমরিচের গুঁড়া আধা চা-চামচ, ধনেগুঁড়া সিকি চা-চামচ, ধনেপাতা কুচি, জাফরান অল্প গরম পানিতে ভেজানো, কাজুবাদাম বাটা ২ টেবিল চামচ।
প্রণালী: তেল গরম করে পেঁয়াজবাটা, আদা-রসুনবাটা, লবণ দিয়ে ভাজুন, লাল হলে সব সবজি ঢেলে দিন, একটু নরম হয়ে এলে মরিচের গুঁড়া, গোলমরিচের গুঁড়া, ধনেগুঁড়া দিয়ে নাড়তে থাকুন।
সবজি হয়ে এলে দই, জাফরান দিয়ে অল্প আঁচে রেখে দিন। ধনেপাতা কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন।
ডিম-বেগুনের যুগলবন্দী
বেগুনের ভর্তা যেমন সবার প্রিয়, তেমনি বেগুন ভাজাও বেশ জনপ্রিয়। বেগুনে কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট, প্রোটিন এবং কিছু কিছু লবণ কম বা বেশিমাত্রায় রয়েছে। এতে ভিটামিন এ, বি, সি, ও লোহাও আছে। খাদ্যগুণ ও ভিটামিন বেশি থাকায়
এবং এটি সহজলভ্য সবজি বলে নিয়মিত বেগুন খাওয়া যেতে পারে। তবে সবসময় একরকম রান্না খেতে কারোরই ভালো লাগে না। মাঝে মাঝে রান্নায় ভিন্নমাত্রা খাবার টেবিলের পুরো পরিবেশটাই বদলে দিতে পারে। বেগুন আর ডিমের এই তরকারিটা
খেতে বেশ ভালো। এটা খিচুড়ির সঙ্গেও খাওয়া যায়।
উপকরন:
-ডিম ৪টা
-বেগুন ২টি
-১ চা চামচ হলুদ
-১ চা চামচ মরিচ
-আদা বাটা ১ চা চামচ
-রসুনবাটা ১চা চামচ
-জিরা ১চা চামচ
-এলাচ ২টি গুড়ো করা
-পিঁয়াজ কুচি ১ কাপ
-তেল পরিমাণ
-লবণ পরিমাণমতো
প্রণালী: চুলায় ডিম সিদ্ধ হতে দিন। বেগুন ২টা ডুমো ডুমো করে কেটে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। ডিম সেদ্ধ হলে খোসার একটি টুকরো দিয়ে ডিমের গায়ে লম্বালম্বি ৩/৪টি আঁচড় দিয়ে দিন। ডিমে হলুদ, মরিচ, লবণ মাখিয়ে হালকা করে ভেজে
তুলুন। তবে ভাজার সময় খেয়াল রাখতে হবে বেশি যেন ভাজা না হয়। বেশিক্ষণ ভাজলে উপরের চামড়া শক্ত হয়ে যায় (অবশ্য ডিম না ভাজলেও চলে)। এখন ডিম ভাজার মসলার মাঝে বেগুনের টুকরোগুলো মাখিয়ে নিন। সামান্য লবণ দিতে পারেন। এবার
বেগুনের টুকরোগুলোও ভেজে তুলুন। একটি কড়াই চুলায় দিন। পরিমাণমতো তেল দিন। তেল গরম হলে পেঁয়াজকুচি ও লবণ দিয়ে ভাজুন। হালকা বাদামী রঙ হলে ১ কাপ পানি দিয়ে বাকি সব মসলা দিয়ে ভালো করে কষান। প্রয়োজনে আরো পানি দিয়ে
কষান। কষানো হলে ডিম ও বেগুন ভাজা দিয়ে পানি দিন। পানির পরিমাণ এমন হবে যেন নামানোর সময় ঝোলটা মাখা মাখা থাকে। তরকারী নামানোর আগে এক চিমটি ভাজা জিরার গুড়ো উপরে ছিটিয়ে নামিয়ে ভাত/রুটির সাথে পরিবেশন করুন।
কলিফ্লাউয়ার রোল
উপকরন:
কলিফ্লাউয়ার- ১ কাপ,
পেঁয়াজ- ১/২ কাপ একটু বড় করে ভাজা
মসলা- ১ চা-চামচ,
টেস্টিং সল্ট- ১/২ চা-চামচ,
ময়দা- ১ কাপ,
লবণ,
তেল,
পানি পরিমাণমতো,
বেকিং পাউডার- ১/২ চা-চামচ
প্রণালী: ময়দা সিদ্ধ করে ডো করে নিতে হবে। কলিফ্লাউয়ার, বেকিং পাউডার দিয়ে সিদ্ধ করে নিন। তারপর পেঁয়াজ ও অন্যান্য মসলা দিয়ে রান্না করুন। রোল করে ডুবো তেলে ভেজে পরিবেশন করুন।
কুড়মুড়ে সবজি পাকোড়া
উপকরন:
আধা সেদ্ধ নুডলস ১ কাপ, কর্নফ্লাওয়ার ৬ টেবিল চামচ, গাজরকুচি আধা কাপ, মটরশুঁটি ১ কাপ, মাশরুমকুচি আধা কাপ, পেঁয়াজকুচি আধা কাপ, কাঁচামরিচ কুচি ১ টেবিল চামচ, ধনেপাতার কুচি ২ টেবিল চামচ, ডিম ১টি,
সাদা গোলমরিচের গুঁড়া ১ চা চামচ, ময়দা ২ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, ভাজার জন্য তেল পরিমাণমতো।
প্রণালী: গাজরকুচি আধা সেদ্ধ করে নিতে হবে। ডিম ফেটিয়ে নিতে হবে। সব উপকরণ ফেটানো ডিমের সঙ্গে ভালোভাবে মাখিয়ে গরম ডুবোতেলে ছোট ছোট করে পাকোড়া ভেজে নিতে হবে। তেঁতুলের চাটনি বা টমেটো সসের সঙ্গে পরিবেশন।
কাঁঠালের কাঠি কাবাব
উপকরন:
কাঁঠাল সেদ্ধ করে বাটা ১ কাপ, পাউরুটি ২ টুকরা, জিরা ভাজা গুঁড়া ১ চা চামচ, কাঁচামরিচ কুচি ১ চা চামচ, লেবুর খোসার কুচি ১ চা চামচ, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ, ডিম ১টি, বিস্কুটের গুঁড়া সিকি কাপ, লবণ স্বাদমতো, তেল ভাজার জন্য।
প্রণালী: সব একসঙ্গে মেখে কাঠির মধ্যে গেঁথে ডুবোতেলে লাল করে ভাজতে হবে। এবার চাটনির সঙ্গে গরম গরম পরিবেশন।
কলমি শাকের বড়া
উপকরন:
কলমি শাক কুচি ১ কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, মসুর ডাল বাটা ১ কাপ, আদা-রসুন বাটা ১ চা চামচ, ডিম ১টি, বেকিং পাউডার সামান্য, হলুদ গুঁড়া সামান্য, কাঁচামরিচ কুচি ১ চা চামচ, লবণ স্বাদমতো, তেল ভাজার জন্য।
প্রণালী: তেল ছাড়া ওপরের সব উপকরণ দিয়ে মেখে একটি ঘন মিশ্রণ তৈরি করুন। কড়াইতে তেল দিয়ে পছন্দমতো বড়া তৈরি করে ডুবোতেলে ভেজে তুলুন এবং গরম গরম পরিবেশন করুন মজাদার কলমি শাকের বড়া।
আলুর চপ সিদ্ধ ডিমের ভর্তা দিয়ে
উপকরন:
আলু ৫০০ গ্রাম, ডিম ১টি সিদ্ধ করে ভর্তা করতে হবে, কাঁচ মরিচ কুচি ১ চা চামচ ধনেপাতা কুচি ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ বেরেস্তা করা ২ টেবিল চামচ, গরম মশলা গুড়া ১ চা চামচ, ডিম ১টি ফেটানো, বিস্কুটের গুড়া পরিমাণমতো, তেল ভাজার জন্য পরিমাণমতো,
লবণ পরিমাণমতো।
প্রণালী: প্রথমে আলু সিদ্ধ করে লবণ দিয়ে মেখে রাখতে হবে। (আলু গরম অবস্থায় লবণ না দিয়ে ঠান্ডা করে নিতে হবে। কারণ গরম অবস্থায় আলুতে লবণ দিলে আলু পানি পানি হয়ে যাবে।)
এখন একটি কড়াইয়ে তৈল গরম করে একে একে তাতে আলুর ভর্তা, ডিমের ভর্তা, কাঁচামরিচ কুচি, ধনেপাতা কুচি, গরম মশলা গুড়া, স্বাদ অনুযায়ী লবণ এবং পেঁয়াজ বেরেস্তা দিয়ে ভালভাবে ভাজা ভাজা করে আবার মেখে নিতে হবে। হালকা হাতে চ্যাপটা আকারে চপগুলো প্রায় ১০-১২টি গড়ে ফ্রিজে প্রায় ৫ মিনিট রাখতে হবে। তারপর ডিমের গোলায় ডুবিয়ে বিস্কুটের গুড়ায় গড়িয়ে গরম ডুবন্ত তেলে ভেজে টিস্যু পেপারে তুলে রাখতে হবে। নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী সাজানো যায়। এটি সস বা চাটনি দিয়ে খাওয়া যায়।
আলুর ঝুরি বড়া
উপকরন:
আলু ৫০০ গ্রাম (ঝুরি করে কাটতে হবে), ময়দা ১০০ গ্রাম, ধনেপাতা কুচি ১ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ কুচি ১ চা চামচ, পেঁয়াজ মিহি করে কাটা ১ বাটি, হলুদ গুড়া ১ চা চামচ, মরিচের গুড়া ১ চা চামচ, লবণ স্বাদ অনুযায়ী, পানি পরিমাণমতো, ডিম ১টি,
তেল পরিমাণমতো।
প্রণালী: প্রথমে আলু ঝুরি করে কেটে ধুয়ে তা ঝাঝরিতে দিয়ে পানি ঝরিয়ে রাখতে হবে। তারপর ঝুরি করা আলুতে একে একে ময়দা, ধনেপাতা কুচি, পেঁয়াজ ও কাঁচ মরিচ কুচি, হলুদ ও মরিচের গুড়া, লবণ, পানি এবং ডিম দিয়ে ভালভাবে মাখিয়ে গোল গোল করে ডুবন্ত গরম তেলে ভেজে টিস্যু পেপারে তুলে রাখতে হবে।
এটি সস বা টক পানি দিয়ে নাস্তা হিসেবে চায়ের সাথে খেতে ভালই লাগবে।
ক্যারেট রোল উপকরন:
ক্যারেট- ১ কাপ (কিউব কাট), পেঁয়াজ- ১/২ কাপ (কিউব কাট), তেল- ২ টেবিল-চামচ, ভাজা মসলা- ১ চা-চামচ, কাঁচামরিচ কুচি- ২টি, টেস্টিং সল্ট- ১ চা-চামচ, ময়দা- ১ কাপ, লবণ পানি- পরিমাণমতো।
প্রণালী: কড়াইয়ে তেল দিয়ে ক্যারেট, পেঁয়াজ, মরিচ, মসলা দিয়ে হালকা রান্না করুন। ময়দা সিদ্ধ করে ডো করে নিন। রুটি বেলে ক্যারেট রান্না ভরে ডুবো তেলে ভেজে ফেলুন।
সবজির বল: উপকরন:
সেদ্ধ আলু (পেষা) ২ টেবিল চামচ, কাঁচাকলা সেদ্ধ ২ টেবিল চামচ, গাজর মিহি কুচি ২ টেবিল চামচ, মাশরুম কুচি (ভাপ দেওয়া) ২ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ মিহি কুচি ১ কাপ, কাঁচামরিচ মিহি কুচি ২টি, আদা কুচি আধা চা চামচ,
ময়দা বা সুজি ১ কাপ, ডিম ১টি, বেকিং পাউডার আধা চা চামচ, লবণ স্বাদমতো, তেল ভাজার জন্য, পানি প্রয়োজনমতো।
প্রণালি:
সব সবজি, ডিম, লবণ, ময়দা ও প্রয়োজনমতো পানি দিয়ে মেখে মণ্ড তৈরি করুন। কড়াইতে তেল দিয়ে তাতে মণ্ড থেকে তৈরি বল আকারে গড়ে সোনালি করে ভেজে তুলুন।
আনারস-দই সালাদ: উপকরন:
আনারস কুচি রস ছাড়া ১ কাপ, টকদই পানি ঝরানো ১ কাপ, শসা কুচি ১ কাপ, গোলমরিচ গুঁড়া আধা চা চামচ, লবণ আধা চা চামচ, চিনি ২/৩ টেবিল চামচ, গাজর মিহি গ্রেট করা ২ টেবিল চামচ, ধনেপাতা কুচি ২ টেবিল চামচ।:
প্রণালি:আনারস কুচি করে রস ছেঁকে নিতে হবে। দইয়ের পানি কাপড়ে বেঁধে ঝরাতে হবে। এবার সব উপকরণ একসঙ্গে মেখে পরোটা, রুটি বা পোলাওয়ের সঙ্গে পরিবেশন।
পনির দিয়ে সবজির কোরমা
উপকরন:
আলু, পেঁপে, গাজর, বরবটি ও পটোল, তেজপাতা, কালিজিরা, মরিচ, নারকেল, দুধ, পনির।
প্রণালী: সব সবজি বড় বড় করে কেটে নিতে হবে। অল্প তেলে সাঁতলিয়ে নিতে হবে। এরপর পনিরের টুকরা ছোট ছোট করে কেটে তেলে ভেজে নিতে হবে। এগুলো আলাদা বাটিতে উঠিয়ে রাখতে হবে। কড়াইয়ে তেল ও ঘি একসঙ্গে দিতে হবে।
এরপর তেজপাতা, সামান্য কালিজিরা, মরিচের ফালি দিয়ে ফোড়ন দিতে হবে। তারপর এক কাপ দুধের মধ্যে একটু নারকেল মিহি করে বেটে দিতে হবে। এরপর ভালোভাবে কষিয়ে নিতে হবে। কষানো শেষে পনিরের টুকরাসহ সব উপকরণ কড়াইয়ের
মধ্যে ঢেলে দিতে হবে। এভাবে পনিরের কোরমা তৈরি হয়ে যাবে।
কচুর কোরমা
উপকরন:
কচু ১৫ টুকরা, সয়াবিন তেল আধাকাপ, রসুন বাটা আধা চা-চামচ, পেঁয়াজ বাটা ৪ টেবিল-চামচ, পেঁয়াজ বেরেস্তা ৪ টেবিল-চামচ, তেঁতুলের মাড় ১ টেবিল-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, ঘি ২ টেবিল-চামচ, আদা বাটা ১ টেবিল-চামচ,
শুকনা মরিচ গুঁড়া আধা চা-চামচ, পোস্তাদানা বাটা ১ চা-চামচ, দুধ ২ কাপ, চিনি ১ টেবিল-চামচ।
প্রণালী: কচু ছিলে আধা ইঞ্চি পুরু করে গোল টুকরা করতে হবে। এগুলো কেচে নিতে হবে। অল্প লবণ মাখিয়ে ফ্রাইপ্যানে হালকা বাদামি করে ভেজে নিতে হবে। অন্য পাত্রে তেল দিয়ে পেঁয়াজ বেরেস্তা করে তুলে রাখতে হবে। এবার ওই তেলে বাটা ও
গুঁড়া মসলা আধা কাপ পানি দিয়ে কষাতে হবে। ভালোভাবে কষানো হলে দুধ দিয়ে ঝোল দিতে হবে। ফুটে উঠলে ভাজা কচুর টুকরাগুলো দিয়ে মাঝারি আঁচে রাখতে হবে। কচু সেদ্ধ হলে তেঁতুলের মাড়, কাঁচা মরিচ ও চিনি দিতে হবে। দমে বসাতে হবে।
ঝোল মাখা মাখা হলে ঘি দিয়ে নেড়ে ঢেকে দিতে হবে। এবার নামিয়ে ভাত অথবা পোলাওয়ের সঙ্গে পরিবেশন করুন।
হরেক রকমের ফলের সালাদ
উপকরন:
আপেল: ১টি (কিউবের আকারে কেটে নিতে হবে), আঙুর: ১০০ গ্রাম (লাল বা কালো রঙয়ের), পেঁপে: ১০০ গ্রাম (কিউবের আকারে কেটে নিতে হবে), চেরি ফল: ৪-৫টি (সাজানোর জন্য), বেদানা: ১০০ গ্রাম, পিঁয়াজ:
১০০ গ্রাম, কমলালেবু ১০০ গ্রাম, বীট লবণ: স্বাদ অনুযায়ী, লো-ফ্যাট ক্রিম: সামান্য, সাজানোর জন্য শসা: ১০০ গ্রাম গোল গোল করে, লেটুস পাতা: কয়েকটি সাজানোর জন্য ২-৩টি, চিনি সামান্য, লেবুর রস অল্প।
প্রণালী: প্রথমে একটি পাত্রে একে একে আপেল, আঙুর, পেঁপে, লেবুর রস, চিনি, বেদানা, কমলালেবু এবং বীট লবণ দিয়ে ভালভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর লেটুসপাতা ভালভাবে ধুয়ে পরিস্কার করে একটি সার্জি ডিসে তা বিছিয়ে দিয়ে
উপরে ফলগুলো দিয়ে তার উপরে চেরি ফল সাজিয়ে শেষে উপরে লো-ফ্যাট ক্রিম ঢেলে সাজিয়ে পরিবেশন করুন অতি সুস্বাদু এবং একটি স্বাস্থ্যকর খাবার হরেক রকমের ফলের সালাদ
ফ্রুট স্যালাদ
উপকরন:
টমেটো (কাটা) ২টি, শশা কাটা ১টি, কলা কাটা ২টি, পেয়ারা ১টি, লেটুস পাতা পরিমাণমতো, লবণ পরিমাণমতো, চার্ট মসলা টেবিল চামচ, লাল সবুজ কাঁচা মরিচ ২টি, লেবুর রস আড়াই টেবিল চামচ।
প্রণালী: ১টি বড় বাটিতে শসা টমেটো, কলা, আম, পেয়ারা, গোলমরিচ, লেবুর রস, চাট মসলা, লেটুস পাতা লবণ দিয়ে মাখিয়ে বাটিতে পরিবেশন করুন।
পরের পাতা
| |